বর্তমান সময়ে অল্পবয়সী বিশ্ববিখ্যাত এবং প্রতিভাবানদের একজন হলেন বাংলাদেশী অনলাইন শিক্ষক ক্ষুদে পণ্ডিত উম্মে মাইসুন। যিনি দশ বছর বয়সে এবং তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই লিটল মাস্টার হিসেবে খ্যাতিলাভ করেছেন। রবি টেন মিনিটস স্কুলের ভিডিওর মাধ্যমে তার আত্মপ্রকাশ, বলতে গেলে রাতারাতিতেই তার স্বপ্নের স্থানে পৌঁছে যাওয়া। আর অনলাইন জগতে তার শিক্ষিকা হিসেবে পদচারণা সবাইকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। ছোটরা তার ভিডিও দেখতে এবং তার থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারে খুব সহজেই। সহজ, প্রাণবন্ত এবং শিক্ষার ভিন্ন পথ অবলম্বনের কারণে মাইসুন বিশেষভাবে পরিচিত। উম্মে মাইসুনের পরিচয় ও আদ্যোপান্ত জানবো আজ, ক্ষুদে পণ্ডিতের ডিজিটাল পাঠশালার সব খবরাখবর নিয়ে আজকের এই লেখা ।
মাইসুনের এই দক্ষতার মূল কারণ ইচ্ছাশক্তি, ইচ্ছাশক্তি দৃঢ় হওয়ার কারণে তার এগিয়ে যাওয়া সফল হয়েছে। ইচ্ছের পথে হেঁটেছে। আর দক্ষতা অর্জন করে দক্ষতা কে কাজেও লাগাচ্ছে, ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্ব বাসির নিকটে। ইংরেজিতে এই দক্ষতা আসে তার ছোটবেলা থেকেই, ছোট বেলা থেকেই সবকিছুতে ইংরেজির ব্যবহার তার এমন দক্ষতার কারণ। যা কিছু করবে, আগামি দিনের চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা সহ নিজের নোটখাতায় মুক্তচিন্তাদের ছড়িয়ে দিবে ইংরেজির ব্যবহারে। আর এমন সব অভ্যাসের কারণে ইংরেজির চর্চা ঠিক রাখা হয় ভালোভাবে।
ছোট বড় হিসেবে কেউই প্রার্থক্য করার জন্য না। ছোটরাও বড়দের মত অনেক কাজ করে দেখায়। প্রতিটি যুগে অথবা প্রজন্মে কয়েকটি প্রতিভাশালী শিশুর জন্ম হয়। যারা অল্প বয়সেই পৃথিবীতে সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়। আর তাদের সবার জন্মের স্থান এক স্থানে হয়না বিভিন্ন স্থানে হয়ে থাকে। সেসব অসাধারণ শিশুদের মধ্যে একজন হলেন আমেরিকান কবি উইলিয়াম কুলেন ব্রায়ান্ট। তিনি একজন বিখ্যাত কবি হিসেবে বিবেচিত হোন, তার দশ বছর বয়সে কবিতা প্রকাশ করার মাধ্যমে। আর কুলেন ব্রায়ান্ট এর মত যুগের বিখ্যাত আরেকজন পিয়ানোবাদক হলেন মার্থা আর্জেরিচ। যিনি দশ বছর হওয়ার আগেই প্রথম কন্সার্ট করছিলেন।
উম্মে মাইসুনের পরিচয় ও আদ্যোপান্ত
“উম্মে মাইসুন ” নামের মাইসুন অর্থ ” সুন্দর মুখ।” নামের সাথে মিলে তার উজ্জ্বল মুখ টি। নামের অর্থের মতই সুন্দর তার হাস্যজ্জ্বল নামটি। মানুষ যখন শিশুর নাম রাখে বা নামকরণ করে, তখন সে নাম ভেবে রাখা উচিত।কারণ সে নামের অর্থ অনুযায়ী অথবা নামের অর্থ যেমন হবে মানুষটার জীবনে সেসব কিছুর প্রতিফলন ঘটবে, আর তাই সুন্দর নামের অর্থ অনুযায়ী মানুষটার জীবন ও সুন্দর হবে। আর তেমনি মাইসুনের রূপের সাথে গুণের মিল রয়েছে। গুণে গুণান্বিত এই শিশুটি আগামিদিনের ভবিষ্যৎ। আর আশা করা যায় ঊম্মে মাইসুন আগামিদিনের উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে থাকবে বিশ্বের কাছে। তার এগিয়ে যাওয়ার কামনা সবাই করে।
ডিজিটাল যুগের এই বিখ্যাত লিটল মাস্টার চট্টগ্রাম শহরের এক বাংলা মিডিয়াম থেকে পড়েও ইংরেজির উপর বিশেষ দক্ষতার প্রতিফলন দেখান, তার ভিডিওর মাধ্যমে তিনি নিজেকে প্রকাশ করেন পুরো দেশবাসির নিকটে। চট্টগ্রামের আসকারদিঘিতে মতান্তরে জামালখানা এলাকায় মাইসুন বসবাস করে, সেখানে তিনি তার পিতা আশরাফ উল্লাহ রুবেল এবং মাতা ঊম্মে সালমা চৌধুরী আঁখির সাথে থাকেন। তার পিতা রুবেল একজন সাংবাদিক। আর মাতা ঊম্মে সালমা আঁখি একজন গৃহিণী। পিতামাতার আদরের মেয়ে মাইসুনের সব কিছুতেই তারা সচেতন থাকেন। সবকিছুতেই তারা সমর্থন করে মাইসুন কে খুশি রাখেন।মাইসুনের কয়েকজন বন্ধু আছে, যাদের সাথে থাকতে এবং সময় কাটাতে সে পছন্দ করে। আর তাদের নাম জিজ্ঞেস করা হলে আমরিন এবং হাফসা সহ কয়েকজনের নাম ঊল্লেখ করেন ঊম্মে মাইসুন। আর তাদের সাথে বন্ধুত্বের কারণের কথা জিজ্ঞেস করা হলে বলা হয়ে থাকে যে মাইসুন তাদের সাথে খেলতে পারে এবং তাদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করে এমন কারণ সহ আরো কয়েকটি কারণ ব্যক্ত করেন।
একনজরে মাইসুন বৃত্তান্তঃ-
- আসল নাম : উম্মে মাইসুন।
- ডাকনাম : মাইসুন।
- পিতার নাম : আশরাফ রুবেল।
- মাতার নাম : উম্মে সালমা চৌধুরী আঁখি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : প্রাইমারি লেভেলের ছাত্রী।
- শ্রেণী : চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
- স্কুলের নাম : বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
- পেশা : ইংরেজি শিক্ষক।
- দক্ষতা : ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতা।
- বিখ্যাত : ইংরেজিতে দক্ষতাই বিখ্যাত করেছে।
- জন্ম তারিখ : ২০ জুলাই।
- জন্ম সাল : ২০১০
- বর্তমান বয়স : ১১ বছর।
- জন্মস্থান : চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
- জাতীয়তা : বাংলাদেশী।
- ধর্ম : ইসলাম।
- লিঙ্গ : মহিলা।
- চোখের রঙ : কালো।
- চুলের রঙ : কালো।
প্রিয় বা পছন্দের তালিকা:-
- প্রিয় সময় : পড়ার সময় এবং খেলার সময়।
- প্রিয় সখ : রঙ করা এবং স্কেচ করা।
- প্রিয় অভ্যাস : লেখালেখি করা।
- প্রিয় বই : ইংরেজি বই এবং বাংলা বই।
- প্রিয় খাবার : দেশীয় এবং মায়ের হাতের খাবার।
- সখ : বিশ্বভ্রমণ করা তথা দেশে বিদেশে ঘুরা।
- পড়ালেখার ইচ্ছে : বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার।
- স্বপ্ন : কম্পিউটার বিজ্ঞানী হওয়া।
- তার বন্ধু সংখ্যা : ১০/১১
- বন্ধুদের নাম : আমরিন এবং হাফসা সহ প্রমুখ।
- হোম টাউন : চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
অসাধারণ দক্ষতা এবং প্রতিভার অধিকারী শিশু ঊম্মে মাইসুন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজের একজন আদর্শ ছাত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। মাইসুন বর্তমানে বাংলা মিডিয়ামের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী, তৃতীয় শ্রেণিতে অবস্থানকালেই তার প্রতিভার উন্মেষ অথবা আত্মপ্রকাশ ঘটে। আর এই আত্মপ্রকাশ তাকে দিনের পর দিন সেরা হিসেবে বিবেচিত করতেছে। কিন্তু ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় শ্রেণিতে অবস্থানকালেই মাইসুন ভিডিও মেকিং শুরু করে। ছোটদের স্পোকেন ইংলিশ তার প্রথম প্রকাশ, দ্বিতীয় প্রকাশ হিসেবে একটি ফিকশন আসতে চলছে। আর মাইসুনের মতে সেটি ২০২২সালে আসবে। আশা করা যায় আগের প্রকাশিত বই এর মত পরেরটিও সকলের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। সবাই ইংরেজি শিখতে পারবে খুব সহজেই এবং মাইসুনের দেওয়া ট্রিকস গুলা মেনে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারবে। মাইসুন বাংলার একজন ভবিষ্যৎ হিসেবে আঘমন করছে। তাকে সবার সমর্থনের মাধ্যমে আহূত করা হবে। তার এই পদচারণা এবং বাংলার নিকট সে শুভাকাঙ্ক্ষী রূপে এসেছে। তার ভিডিও মানুষকে উপকৃতই করে যাচ্ছে। এই জ্ঞানী এবং দক্ষ শিশুটিকে দেখে মানুষ যেমন অবাক অন্য দিকে মুগ্ধ ও হচ্ছে।
ছোটবেলা থেকেই মাইসুনের ইংরেজিতে ঝোঁক ছিলো, সবসময় ইংরেজি বলতে চাইতো, চিন্তাভাবনা সব ইংরেজিতে করতে চাইতো, শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, তার খেলার পুতুলের সাথের কথোপকথন টাও ইংরেজিতে করতো। মাইসুনের ইংরেজিতে দক্ষতার শুরুটা হয় পেপা পিগ আর টিভিতে কার্টুন দেখার মাধ্যমে। আর তারপর ইউটিউব এবং ইংরেজি সিনেমা প্রচুর সাহায্য করে থাকে তাকে। টিভিতে ইংরেজি মুভি দেখার সময় লেখা গুলো দেখে পড়ে নিতো এরপর এভাবে এগোতে এগোতে পরে মুভির বলা শব্দ গুলোর উচ্চারণগুলো তার মাথায় গেঁথে যেতো।পড়া বা জানার সাথে সাথে প্র্যাক্টিস তথা অনুশীলন এর যায়গা হিসেবে ব্যবহার করতো জার্নাল কে, মানে হলো সে যা যা শুনতো দেখতো, যে ব্যাপারে ভাবতো সব কিছু নিয়ে আবার লিখতো। তবে সে লিখাটাও ইংরেজিতে ছিলো। আর এভাবেই তার চর্চা তথা ইংরেজি অনুশীলন চলমান ছিলো। সে তার ডেইলি রুটিন এবং আগামি দিনে কি কি করবে এরপর সিদ্ধান্ত, ইচ্ছে, সখ, পছন্দ, পরিকল্পনা সহ সবকিছু নিয়েই ইংরেজিতে লিখতো। আর যেটা না বললেই নয় তার বি টি এস এর প্রতি ভালোলাগা থাকার কারণে, সেসব মানুষ দের কে নিয়ে লিখতো,তাদের গান নিয়ে লিখতো। তাদের কি কি পছন্দ সেসব লিখতো। মাইসুন তার পছন্দের সব কিছু নিয়ে লিখতো, তার প্রিয় কার্টুন, প্রিয় গান ধরে সব কিছু নিয়েই,এমন করে প্রতিটা জিনিস নিয়ে লিখতে লিখতে অভিজ্ঞতা বাড়ে এবং অনুশীলন ঠিক থাকে। মানে হলো মুক্ত চিন্তার সব কাগজে ঢেলে দিতো ইংরেজি ভাষায়।
মাইসুনের ইংরেজিতে দক্ষতা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে মাইসুনের বাবা আসরাফ উল্লাহ্ রুবেল দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “যখন মাইসুনের বয়স ৬বছর, তখন থেকেই আমরা মাইসুনের ইংরেজিতে বিশেষ দক্ষতা লক্ষ্য করি।” কারণ সে ছোটবেলা থেকেই ইংরেজি নিয়ে চিন্তা করতো, উঠতে বসতে সহ সব ক্ষেত্রে ইংরেজিতে বলার চেষ্টা করতো, নিত্যদিনের পরিকল্পনা সহ সব কিছুতেই ইংরেজির ব্যবহার তাকে খুব ভালোভাবে সাহায্য করেছে ইংরেজি শিখতে। তার ভিডিওর মাধ্যমে সে যে কথোপকথন করে পুতুলের মধ্যে তা অসাধারণ, এরপর সে সেসব কথোপকথন ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দেয়। তার চিন্তাভাবনার মধ্যেও সে ইংরেজিকে গ্রহণ করছে। তার ইংরেজি শেখানোর ব্যাপারটা অসাধারণ। যা মানুষকে ভালোভাবে আকর্ষিত করে। এবং মানুষ তা শিখে নিতে চেষ্টাও করে সহজে। বাংলার মানুষ তার ভিডিও দেখে নিজেদের অনেক ধরণের ভুল ভেঙ্গেছে।মানুষ জানে বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র ছাত্রীরা ইংরেজি জানেনা এবং পারেনা। আর মাইসুন সেসব কথাকে অগ্রাহ্য করে এবং সবার ভুল ভেঙ্গে দিয়ে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরেছে ছোট হওয়ার পর ও।
ঊম্মে মাইসুনের ইংরেজিতে এরকম দক্ষতার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে মাইসুন দ্যা ডেইলি স্টারকে বলেন, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার চাচাতো ভাইয়া ছুটি কাটাতে বাড়ি এসেছিলো, তারা কোন বাংলা জানতো না, আর তাই আমি তাদের সাথে বাংলায় কথা বলতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। মতান্তরে আরো একটি ঘটনা পাওয়া যায়, ঊম্মে মাইসুনের খালা যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে থাকেন। যুক্তরাজ্য থেকে তার খালা এবং ভাই বোনেরা আসলে তাদের সাথে মাইসুনের যোগাযোগ করতে সমস্যা হচ্ছিলো ইংরেজিতে দুর্বলতার কারণে। আর এ স্মৃতি থেকেই ইংরেজিতে তার এতটা আগ্রহ এবং এগিয়ে যাওয়ার শুরু।
আর উল্লেখযোগ্য এ কারণগুলো ঊম্মে মাইসুন কে ইংরেজি শিখতে আগ্রহী নয় বাধ্য করছিলো। আর এ থেকেই তার যাত্রা শুরু ইংরেজির পথে হাঁটার। ঊম্মে মাইসুন আরো বলেন ” আমি আয়নার সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইংরেজি বলার অনুশীলন করেছি, ইংরেজি বই পড়া, কার্টুন এবং সিনেমা দেখার পাশাপাশি এই অনুশীলন গুলো আমাকে ভাষা বুঝতে সাহায্য করছিলো। মাইসুন তার বাবার সাহায্য নিয়ে ভিডিও ব্লগিং শুরু করেন এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে। তার শেখার এ যাত্রা খুব সংক্ষিপ্ত হতে পারে, কিন্তু তবুও এটি একটি যাত্রা ছিলো এবং তিনি যথেষ্ট পরিমাণে সম্মান, শ্রদ্ধা এবং প্রজ্ঞা নিয়ে আসেন।
ইংরেজিতে যথেষ্ট দক্ষতা থাকার কারণে মাইসুন নিজেই ব্লগ করা শুরু করে তার পিতা আশরাফ রুবেলের সাপোর্টে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার বিষয় বস্তু বানানোর কাজ শুরু হয়। ঘুরতে যেয়ে বা যে কোন যায়গায় গিয়েই তার ভিডিও মেকিং শুরু।অবসর সময়ে সেই নতুন ভিডিও নিয়ে চিন্তা করে বই পড়ে ইউটিউব দেখে খেলা করে। আর প্রতিটা ক্ষেত্রে ইংরেজির ব্যবহার ঠিক রাখে, পুতুল খেলার ক্ষেত্রেও ইংরেজিকে কথোপকথন এর ভাষা হিসেবে রেখেছে এবং টিভি দেখার ক্ষেত্রেও ইংরেজি কে পছন্দ হিসেবে নিয়েছে কারণ কার্টুন গুলো ও ইংরেজিতে দেখতো এবং ইংরেজি মুভি দেখে তাদের থেকে শব্দভাণ্ডার আয়ত্ব করতে চেষ্টা করতো আর তাদের মত উচ্চারণ করার অব্যর্থ চেষ্টাই তাকে এখানে এনেছে। তার সুন্দর করে উচ্চারণ মানুষকে মুগ্ধ করে, তার বলার ভঙ্গি মানুষকে অবাক করে দেয়।
আশরাফ রুবেল সাংবাদিক হওয়া সত্ত্বেও মেয়েকে যথেষ্ট সময় দেন এবং মেয়ের সব ব্যাপারে সমর্থন করে সাথে থাকেন। মাইসুনের ভিডিওর ব্যাপারে মাইসুন নিজেই বলেন, তার বাবা তার লাইটিং এডিটিং ধরে সব কিছুই করে দেয় আর মা কোথায় কোন সমস্যা বা মাইসুনের কিভাবে কমফোর্টেবল লাগবে সেসব ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন থাকেন। মাইসুনের বাবা মা দুজনেই মাইসুনের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।
ব্লগ করে অনলাইন জগতে তা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তার শিক্ষকতার শুরু হয়, আর এভাবেই সে আজকের মাইসুন হয়। শুধুমাত্র ইংরেজি দক্ষতা বা ইংরেজি নিয়ে পড়ে থাকেনা মাইসুন। ডিজিটাল তথা অনলাইন জগতের একজন ইংরেজি শিক্ষিকা হিসেবেই ঊম্মে মাইসুন পরিচিত হোন সবার নিকটে ২০২০ সালের জুন মাসে। কিন্তু মাইসুনের অনলাইন জগতে পদচারণা শুরু হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। রবি টেন মিনিটস স্কুলে ভিডিও প্রকাশের কারণে জুন মাস ভাগ্যের মাস হিসেবে ঊম্মে মাইসুনের সাথে পরিচিত। রবি টেন মিনিটস স্কুলের বিখ্যাত প্লাটফর্মে ঊম্মে মাইসুনের ” কিভাবে ইংরেজিতে নিজেকে পরিচয় করাবেন ” এ বিষয়ের উপর একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। যে ভিডিওটি এক মিলিয়নের উপর মানুষ দেখে এবং হাজার হাজার লাইক এবং মন্তব্য করে থাকে। এই ভিডিওটির মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহজ এবং সুন্দর করার উপায় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মুনজেরিন শহীদ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শিক্ষামূলক প্লাটফর্ম 10 Minute School- এর আরও একজন অসাধারণ ইংরেজি শিক্ষিক।
সেই ভিডিওটির পর ঊম্মে মাইসুনের ধীরেধীরে ১০টি ভিডিও প্রকাশিত হয়ে থাকে। আর সেসব ভিডিও ১৫০মিলিয়নের উপর মানুষ ভিউ করে থাকে। ইউটিউব চ্যানেল ” মাইসুন ওয়ার্ল্ড ” হলেও তার বিখ্যাত হওয়ার ভিডিও গুলো রবি টেন মিনিটস স্কুল এর বিশাল প্লাটফর্ম থেকেই প্রকাশিত হয়। বর্তমানে ইউটিউব, ফেসবুক,ইন্সটাগ্রাম,টুইটার সহ সবখানেই মাইসুন সমান তালে এগোচ্ছে। তার ফলোয়ার সংখ্যা শুধু বৃদ্ধি হচ্ছে। আর সবকিছুতেই সে বিষয়বস্তু স্রষ্টা হিসেবেই পরিচিত। মানুষ এই ক্ষুদে শিক্ষিকা কে দেখে অবাক।সবাই তার এই রহস্যের কারণ জানতে চায়।আর মাইসুন তার গ্রাহক দের প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর সুন্দরভাবে দিয়ে যাচ্ছে। তার প্রথম ভিডিওটি ৫মিলিয়নের ও বেশি মানুষ দেখেছে এবং এর পরবর্তি ভিডিওগুলো ১৫০মিলিয়নের মত মানুষ দেখেছে। আর যাদের শিক্ষা প্রয়োজন তারা শিক্ষাখাতে কাজে লাগাচ্ছে, বিশেষ করে শিশুরা পড়াশোনায় অধিক মনোযোগী হচ্ছে মাইসুনের কর্মকাণ্ডে।
অনলাইন জগতে ঊম্মে মাইসুনের এক বিশাল জয়জয়কার, তার ইউটিউব চ্যানেল ” মাইসুন ওয়ার্ল্ড ” এক উল্লেখযোগ্য শিক্ষাঙ্গন। ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুসারে ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে শুরু করা মাইসুনের এ জার্নি ৫০টি ভিডিওর এই চ্যানেলটির গ্রাহক সংখ্যা আকাশচুম্বী। ২০১৯ সাল থেকে যখন ভিডিও বানাতো তখন এতটা জনপ্রিয় ছিলোনা ঊম্মে মাইসুন। তখন সে বিভিন্ন যায়গায় যেতো আর ভিডিও বানাতো তার ইংরেজির দক্ষতা নিয়ে। এরপর তার ভাগ্যের দরজা খুলে যায়। পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। আজ মাইসুন মানেই জনপ্রিয়, বিখ্যাত এমন এক প্রতিভাবান মেয়ে যে অল্প বয়সেই তার ফলোয়ার তৈরি করে নিয়েছে লাখ লাখ। ফেসবুকেও ফলোয়ার দেড়লক্ষ এর মত আর লাইক সংখ্যাও প্রায় অর্ধলক্ষ এর মত।
মাইসুনের উল্লেখযোগ্য ভিডিওগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো:- মানুষকে কিভাবে অভিবাদন জানাবেন, কমলা সম্পর্কে ভিডিও, একদিন বাটারফ্লাই পার্কে, হোমওয়ার্কের জন্য সাহায্য চাওয়া, কিভাবে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়।আর এ ছাড়াও বর্তমানে মাইসুনের চ্যানেল তথা ” মাইসুন ওয়ার্ল্ডে” তার সাবস্ক্রাইভার সংখ্যা ১১৮ হাজারে রূপান্তরিত হয়েছে এবং তার বানানো ভিডিও ও সমান তালে বাড়তেছে।বিশ্ব মানুষের নিকট এই ক্ষুদে মাইসুন সেরা হয়ে উঠবে অচিরেই।
২০২০সালের ১৫ই জুলাই আন্তর্জাতিক তরুণদের নেতৃত্বাধীন একটি সংস্থা ” Awareness 360 ” ফেসবুক লাইভে বিশ্বের কিছু অসাধারণ শিশুকে দেখায় যারা অসামান্য প্রতিভাবান হিসেবে বিবেচিত এবং অল্প বয়সেই যেসব অসাধারণদের প্রতিভা প্রকাশিত হয়েছে।যারা আফ্রিকা, এশিয়া এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা। আর সেসব অসাধারণ শিশুদের একজন হলেন বাংলাদেশী মাইসুন। বাংলাদেশ শিশুদের নেতৃত্বদানকারী মাইসুন ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে মন দেন। তিনি মানুষকে ইংরেজি শিখতে অনুপ্রাণিত করার জন্য ভিন্ন এবং সহজ পথ অবলম্বন করেন। এই সংস্থার মাধ্যমে মাইসুন কে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রকাশ করা হয় বিশ্বের মানুষের কাছে।
বর্তমান যুগ প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার আমাদের জীবন কে করে সুন্দর এবং সহজ। আমরা যখন কোন প্রযুক্তির কিছু ব্যবহার করতে যাবো তখন আমাদেরকে এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে নয়তো পণ্যের লিখা পড়ে সে সম্পর্কে জানতে হবে। আর বর্তমান যুগের প্রোডাক্ট রিভিও ধরে সব কিছুইতেই ইংরেজির ব্যবহার রয়েছে। সোজা কথায় বললে ইংরেজি হল আমাদের দ্বিতীয় ভাষা তথা আন্তর্জাতিক ভাষা এর ব্যবহারের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর আমরা যারা ইংরেজি জ্ঞানে শূন্য তাদের ভবিষ্যৎ অমানিশার অন্ধকারের মতই। আমাদের প্রতিটি সময়, অবস্থায়, কাজে সহ সব কিছুতে ইংরেজির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। কোন কাজ করতে গেলে, কারো সাথে কথা বলতে গেলে, বাইরের দেশের কারো সাথে যোগাযোগ সহ চাকরি ব্যবসা সব কিছুতেই এখন ইংরেজি। আর যে ইংরেজি জানেনা সে সব কিছু থেকে পিছনে পড়ে থাকে। তার অবস্থান হলো চোখ থাকতেও অন্ধ থাকার মত অবস্থা। ঠিক এই সময় যখন বড়রা ইংরেজি পারেনা সেখানে ক্ষুদে শিশু ঊম্মে মাইসুন চমক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। সে সবার মাঝে ভাবনার আবেশ পৌঁছে দিয়েছে। সবাইকে ভাবতে হয় এমন পরিবর্তন দেখে। মাত্র দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকা অবস্থায়ই সে ভিডিও কন্টেন্ট বানানো শুরু করে। আর তৃতীয় শ্রেণিতে থাকতেই সে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠে রবি টেন মিনিটস স্কুলের ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে।
একজন অনলাইন ইংরেজি ক্ষুদে শিক্ষিকা হিসেবে যেমন পরিচিত তেমনি স্পষ্টভাষী বক্তা হিসেবে ও সুপরিচিত। শুধুমাত্র ইংরেজিতেই তার আধিপত্য তা নয়,বাংলাতেও সমান ভাবে সেরা মাইসুন,শুধুমাত্র বাংলা ইংরেজি বললে ভুল হবে গণিতেও সমান তালে ভালো। তার আরো কতিপয় গুণের মধ্যে রয়েছে ভ্রমণ ব্লগিং, হস্তশিল্প তৈরি এবং পেইন্টিং। বই পড়ুয়া এবং বই পর্যালোচনায় একজন অভিজ্ঞ হওয়ার কারণে বই পোকা ও বলা যেতে পারে উম্মে মাইসুন কে। বিজ্ঞানে রয়েছে অনেক বেশি কৌতূহল আর সেজন্য ফলস্বরূপ ভবিষ্যৎ এ বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার স্বদিচ্ছা ও ব্যক্ত করেন। আর বিজ্ঞান রহস্য উন্মেষণ করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে। ইংরেজি শিক্ষিকা হয়েও বাংলা ভাষা তথা মাতৃভাষার প্রতি তার ভালোবাসা নিখাদ, তিনি এটাকে সর্বদাই মূল ভাষা হিসেবে বিবেচনা করেন। আর সেজন্য তার বই এর ভাণ্ডারে অনেক অনেক ইংরেজি বই যেমন রয়েছে তেমনি বাংলাভাষায় রচিত বই ও বিদ্যমান। আর বাংলা সাহিত্য শেখার ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট সোচ্চার থাকেন।বই এর পাঠক হওয়ার ব্যাপারে তিনি যা বলেন হলো মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত শিশু উপনাস্যের পাশাপাশি প্রিন্সেস ডায়েরি, হ্যারি পটার এবং জেরোনিমো স্টিল্টনের শিশুদের বই পড়তে মাইসুন অনেক বেশি পছন্দ করেন। তিনি সংবাদ পত্রের একজন নিয়মিত পাঠক বিশেষ করে “ডেইলি স্টার” তিনি এই বিষয়টি সংবাদ পত্রের প্রতিবেদক কে জানান। এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র পাঠক হওয়া। যে একজন পাঠক সে নিকট ভবিষ্যৎ এ অনেক কিছু করার সম্ভাবনা রাখে। আর সুযোগ পেলে সেসব কাজেও লাগায়। মাইসুন তার বাবা মায়ের সাহায্য এবং সহযোগিতায় এখানে এসেছে। তার বাবা মায়ের পূর্ণ সাপোর্ট আছে তার উপর যার ফলস্বরূপ মাইসুনের এগিয়ে যাওয়া সহজ।
ইংরেজি ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা থাকার পর ও গণিতবিদ্যাতেও ঊম্মে মাইসুনের দক্ষতার প্রমাণ রয়েছে। স্বপ্ন সম্পর্কে ঊম্মে মাইসুন যা বলেছিলেন তার মূল কথা ছিলো এই যে, ” তার জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে তিনি গবেষক হওয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞানের রহস্য অন্বেষণ করতে ইচ্ছুক। আর তার ইচ্ছার সম্পর্কে বলেন, তিনি একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী হতে চাচ্ছেন। আর ব্লগার হিসেবেও এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন।ইংরেজী শিক্ষিকা, বাংলায় দক্ষতা থাকার পর ও সে প্রকাশ করে ভবিষ্যৎ এ তার বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে,বিজ্ঞান রহস্য উন্মেষণ করার ইচ্ছে আছে এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী হওয়ার কথাও বলেন।
ছোট্ট এই প্রতিভাবান শিশু মাইসুনের ইংরেজি নিয়ে ঝোঁক থাকার ফলস্বরূপ শিক্ষিকা হিসেবে সবার সামনে আত্মপ্রকাশ এবং পরবর্তিতে রাইটার হিসেবেও আত্মপ্রকাশ ছোট্ট শিশু তথা মাইসুনের প্রকাশিত বই এর নাম হলো ” ছোটদের স্পোকেন ইংলিশ।” প্রকাশিত হয় ২০২১ সালে, এবং পাব্লিশার হলো ” আদর্শ। ” বই এর পেজ নম্বর ৪৮। ছোটদের শিক্ষাব্যবস্থা বা ছোটদেরকে লক্ষ্য করেই তার এ আবিষ্কার। নিজে ইংরেজি শিখে, দক্ষতা অর্জন করে, সে দক্ষতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সব ধরণের কাজ করে যাচ্ছে। ঊম্মে মাইসুন এ কথাও বলেছেন যে ” আমি একটি ফিকশন লিখেছি, সেটি ২০২২ এ প্রকাশ হবে।” তার এসব আবিষ্কার এবং চেষ্টা বাংলার মানুষকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। মানুষকে পড়তে, শিখতে এবং জানতে উদ্বুদ্ধ করে তার এসব কর্মকাণ্ড। মানুষ শুধুই অবাক হয় তার অগ্রযাত্রা দেখে। আর অবাক না হবার ও কোন কারণ নাই। কারণ মাইসুনের কর্মকাণ্ডে সবাই অবাক হতে বাধ্য। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গুলো ও অসাধারণ। সেসব কিছুই নোট করে রাখে আগামিতে কি কি করবে আর মজার ব্যাপার হলো সব কিছুই সে ইংরেজিতে লিখে। আর এসব অসাধারণ কার্যাদির জন্যই মাইসুন আজকে সবার কাছে অসাধারণ, প্রতিভাবান এবং বিখ্যাত একজন। তার কার্যাদির প্রশংসা মানুষ না করে পারেনা।
অসামান্য প্রতিভার অধিকারী চট্টগ্রামের শিশু ঊম্মে মাইসুন আজকের বাংলাদেশ কে এগিয়ে নেওয়ার, বাংলার মানুষকে ইংরেজি শিখতে অনুপ্রাণিত করার জন্য বিশেষ ভাবে লেগে আছে, তার ভিডিওর মাধ্যমে মানুষকে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে, আর শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঊম্মে মাইসুন এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যে বিষয় উল্লেখ করেছেন তা হলো ” ভয়।” ভয়কে জয় করার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিতে হবে। আর এই শপথ হতে হবে দৃঢ় শপথ। এগিয়ে যাওয়ার জন্য সব ধরণের ভয় কে ঝেড়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে হাঁটলেই স্বপ্নের পথে হাঁটা সম্ভব। প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তির উপর নির্ভর মানুষের এগিয়ে যাওয়া। মাইসুনের বাবা বা মা কেউই ভিনদেশি নন।আবার কেউই অন্য দেশে থাকেননা। মাইসুন নিজে বাংলাদেশি হয়েও এত্ত ছোট থেকেই ইংরেজি শিক্ষক হয়ে গেলেন যা অবিশ্বাসযোগ্য হলে এটাই ঘটেছে এটাই হয়েছে আর এটাই সত্যি। মাইসুন এ অবিশ্বাস্য ব্যাপারকে বিশ্বাসযোগ্য করে নিয়েছে তার প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি থাকা এবং তার সঠিক ব্যবহারে। সে চিন্তাভাবনা সহ সবকিছুই ইংরেজিতে করতে পছন্দ করে,খেলার পুতুলের সাথে পর্যন্ত ইংরেজিতে কথোপকথন করে। আর তার এসব কিছুর প্রকাশের কারণে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবে ইংরেজি শিখতে এবং তার মত হতে। আর এমন সব কিছু কাজে লাগিয়ে যে চেষ্টা করে যাবে সে সেরাদের খাতায় নাম লেখাতে পারবে খুবই সহজে।
Leave a Reply