বাংলাদেশের সুপরিচিত মুখ গুলোর মধ্যে গোলাম সামদানি ডন অন্যতম। যার গুণের শেষ নাই, স্পিকার, ব্যবসায়ী, Freelancer, লেখক, ইউটিউবার সহ আরো কত কি। তার এত এত গুণের মধ্যে অন্যতম আরেকটি গুণ হলো সহজ ও সাবলিল ভাষায় উপস্থাপন এর দক্ষতা। কথা বার্তায় আচার আচরণে ভালো একজন মানুষের গুণই পরিলক্ষিত হয় তার মধ্যে। যিনি মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যান। মানুষের কল্যাণের জন্য, তাদের সুপ্ত ইচ্ছা শক্তিকে প্রকাশ করার জন্য লেগে থাকেন। তিনি একজন আন্তর্জাতিক ট্রেইনার। যিনি নেতিবাচক ছাড়তে বলেন ইতিবাচকের কথা বলেন অন্যকে ইন্সপায়ার এর জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
Table of Contents
গোলাম সামদানি ডনের পরিচয়
গোলাম সামদানি ডন একজন সুপরিচিত ট্রেইনার। যার ডাকনাম ডন এবং তিনি ডন সামদানি নামেও পরিচিত। তিনি বাবা মায়ের ৩ ছেলের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ এবং অনেক বেশি আদরের ছেলে। ছেলের প্রতি অধিক ভালোবাসার প্রমাণ বিভিন্ন যায়গায় পরিলক্ষিত হয়। গোলাম সামদানি ডনের জন্ম এবং তার পরিবার:-গোলাম সামদানি ডন ২৮ই জুন ১৯৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস পুরান ঢাকার আজিমপুরে এবং সেখানেই জন্মের পর দেড় বছর পর্যন্ত ছিলেন। তার বাবার নাম গোলাম দস্তগির, যিনি একজন ব্যবসায়ী। আর মায়ের নাম নাসরিন দস্তগির, যিনি একজন গৃহিণী। বাবা মায়ের আদরের সন্তান হওয়ার কারণে বাবার Dastegir এর D এবং মায়ের নাম Nasrin এর N দিয়েই গোলাম সামদানির নাম রাখা হয় Don. এরকম বহু প্রমাণ দেখা যায় সামদানির বাবা মায়ের অধিক ভালোবাসার।
গোলাম সামদানি ডন এর শিক্ষা:-
ডন সামদানি Maple Leaf ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে তার স্কুলের পাঠ শেষ করেন এবং Media Studies and Communications বিষয়ে স্নাতক শেষ করেন University of Liberal Arts Bangladesh থেকে ২০০৮ সালে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তার কৃতিত্বসমূহঃ
সভাপতি- ইউল্যাব ফিল্ম ক্লাব 2007, সভাপতি- ইউল্যাব মিডিয়া ক্লাব 2006, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক চ্যাম্পিয়ন 2005, স্টার ক্যাম্পাস ম্যাগাজিন 2005-08-এর ইউল্যাব প্রতিনিধি, সমন্বয়কারী- monsoonletters.com 2007-08 Class Valedictorian 2008, Graduated with academic distinction "Summa Cum Laude", ULAB Named Scholarship with stipend 2006, ইউল্যাব মেরিট অ্যাওয়ার্ড 2005
ডন সামদানির বিয়ে এবং বৈবাহিক জীবন:-
গোলাম সামদানি ডন মাত্র ২৫বছর বয়সে মেহজাবিন খান ঊর্মির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ভার্সিটিতে একই সাথে পড়াশোনার কারণে তাদের মধ্যকার চেনাজানা বাড়তে থাকে আর সেখান থেকেই তাদের মধ্যকার প্রণয়ের সৃষ্টি হয়। আর তারপরেই ছাত্র অবস্থাতেই মেহজাবিন খান কে বিয়ে করার জন্য তাড়াহুড়ো করেন। প্রফেশনাল লাইফ তৈরি করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ২২বছর বয়স থেকে জব কে বেছে নেন পেশা হিসেবে ২৫বছর বয়সে মেহজাবিন ঊর্মিকে বিয়ে করেন। আর ২৯বছর বয়সেই তার ব্যবসায়িক জীবন শুরু অর্থাৎ ” ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন অ্যান্ড কনসাল্টেন্সির” উদ্ভাবনা। ডন দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান, সেই শিশু কন্যার নাম রাখা হয় “শেজরেহ সামদানি।”
class="wp-block-heading"> কন্যার প্রতি ভালোবাসা
কন্যার প্রতি তার ভালোলাগা এবং ভালোবাসা কেমন হতে পারে তা তিনি অনেক ভেবে বের করতে পেরেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন তিনি শেষ যখন “বালি “তে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তখন সে যায়গার সূর্যাস্ত দেখে যতটা খুশি হয়েছিলেন ঠিক ততটাই খুশি তিনি প্রতিবার হোন। যতবার তিনি শেজরেহ সামদানি কে দেখেন। উম্মে মাইসুনকে চেনেন কি?
গোলাম সামদানি ডনের নাম নিয়ে যত কেচ্ছা কাহিনী:-
গোলাম সামদানি ডন কে মানুষ নামের জন্য অনেক তিরস্কার করতো। এই নামের জন্য ডন সামদানি ও অনেক দুঃখবোধ করতো। এই নামের পিছনে একটা ঘটনা আছে। ডন সামদানির মা এবং বাবার মধ্যকার এক গভীর প্রণয় ছিলো। আর তারপরই তারা বিয়ে করেন, এরপর যখন ডন সামদানির জন্ম হলো তখন তার বাবা চাইছিলেন তাদের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে কিছু রাখতে। পরে হসপিটালে আসা কেউ একজন এই নাম ঠিক করে দেয়, বাবার নামের D এবং মায়ের নামের N অক্ষর নিয়ে ডন রাখেন।
ডন সামদানির বন্ধুরা তিরস্কার করে তাকে ডাকতো অনেক কিছুই তার মধ্যকার কিছু নাম হলো- সামদানি করে আমদানি,রপ্তানি, জামদানি ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর ও কথিত আছে যে, সামদানি নামের জন্য মানুষ তাকে অন্যভাবে দেখতো। কিন্তু যখন তাকে সে মানুষরা দেখতো তখন হাসতো আর বলতো “ওহ তুমি ডন।” মানে হলো তারা অনেক ভয়ানক ভেবেছিলো নাম শুনেই। এমন ও ঘটনা ছিলো যে, যখন ডন সামদানির কোন বন্ধু তাদের বাসায় ডন সহ বাকি বন্ধুদের নেওয়ার জন্য বাসায় অনুমতি চাইতো তখন তাদের অভিভাবকগণ ডনের নাম শুনেই বলে দিতো, না বাবা ডন কে আনবেনা। কিন্তু দেখলে নিজেরাই হাসতো কেমন ভেবেছিলো আর কেমন দেখতে এই ডন।
ডন সামদানি বলে, সে সবসময় ভাবতো, যখন সবাই তার নাম দিয়ে এত তিরস্কার করে তখন সে তার নাম কে সুপরিচিত করার চিন্তা করে। যাতে নাম বললেই সবাই চিনে। অর্থাৎ নাম কে এমন এক অবস্থানে নিবে যাতে সবাই একনামে তাকে চিনে। চাকরি ছেড়ে যখন ব্যবসার সুযোগ আসে তার জীবনে, তখন সে তার নাম দিয়েই ট্রেইনিং কোম্পানি দেয় এবং আশা করে ভবিষ্যৎ এ তার কোম্পানি সব চেয়ে বড় ট্রেইনিং কোম্পানি হবে।
গোলাম সামদানি ডনের ছোটবেলা:-
ডন সামদানি একজন ঢাকাইয়া, তার পৈত্রিক বাড়ি পুরান ঢাকায়। ডন সামদানি জন্মের পর দেড় থেকে ২বছরের মত আজিমপুরে থেকেছিলো। তার মায়ের বাড়ি অর্থাৎ নানাবাড়ি ও ছিলো পুরান ঢাকার লালবাগে। বাবা মায়ের বড় সন্তান হওয়াতে তুলনামূলক বেশিই আদরের ছিলো। ছোটবেলায় তার বাবা বিজনেস করতো, “জিডি গার্মেন্টস” নামে একটা দোকান ছিলো, দোকানের মালামাল কিনতে দেশ বিদেশে ঘুরতো। সাথে পরিবারকেও নিয়ে যেতো। মানে হলো ডন সামদানির ছোটবেলা অনেক ভালো গিয়েছিলো। কিন্তু বড় হওয়ার পর তার বাবা গোলাম দস্তগির এর বিজনেসে ধ্বস নামে। এরপর থেকেই তাদের কষ্টকর জীবন শুরু। আত্মীয়দের কোন অনুষ্ঠানে গেলে রাত করে যখন বাসায় ফিরতো তখন তাদের অন্য আত্মীয়ারা নিজেদের গাড়ি করে বাসায় ফিরে, ডন সামদানি এবং তার পরিবার গাড়ি খুঁজে বাসায় ফেরার জন্য। একসময়ের নামকরা সেই ব্যবসায়ীর ছেলেরা যখন সমস্যায় পড়ে এবং অন্যের দ্বারে যায় তা সত্যিই কষ্টকর।
আর
ডন সামদানির এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা:-
ডন সামদানি কখনোই ভাবেনি সে একজন ট্রেইনার হবে, মোটিভেশনাল স্পিকার হবে। ডন সামদানি একটা কোম্পানিতে জব করতো, তখন ২০১৩সালে তার জীবনে একটা ভয়ানক ঘটনা ঘটে। তার চাকরি জীবনের সব সেভিংস দিয়ে একটা গাড়ি কিনেছিলো, এরপর বসুন্ধরার বারিধারাতে তার পায়ে গুলি মেরে একদল লোক তার সে প্রিয় গাড়িটা নিয়ে যায়। মিনিট খানেকের মাথায় তার সব সম্পত্তি নিয়ে চলে যায় একদল লোক। আর তারপর সে যখন বেডরেস্টে ছিলো তখন তার মাথায় চিন্তা আসে সে আর্থিকভাবেও শূন্য এবং শারীরিক ভাবেও অচল। তার আসলেই কিছু নাই। না অর্থ আছে না শরীর তাহলে এই জীবনের মূল্য কি। সারাজীবনের সেভিংস যদি মিনিটেই শেষ হয়ে যায় তবে জীবনের মূল্য কি। এসব ভাবতে ভাবতে পরে মাথায় এটা আসে তার কি ভালোলাগে, সে অনুযায়ী কাজ করতে ইচ্ছে হয়। স্নাতক শেষ করার পর থেকেই ডন সামদানি ইউল্যাব এবং আরেকটা ইউনিভার্সিটিতে পড়াতো। সপ্তাহে ৫দিন চাকরি করাতো আর ছুটির দিনে ইউনিভার্সিটিতে পড়ানোর আগ্রহ দেখে ডন সামদানির বস তাকে ট্রেইনিং এ দেয়, এতে করে সে কোম্পানির ভিতরেই এশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনার হয়ে যায়। আর এভাবেই সে প্রথম ট্রেইনিং সার্টিফিকেট পায়।
যখন ডন সামদানি বুঝলো সে আসলে কি চায়, কি ভালোবাসে। হাজার হাজার মানুষের সামনে স্পিস দিতেই ভালো অনুভব করে, নিজেকে লাকি ভাবে। তখন সে আরেকটা বিষয় অনুভব করে মানুষরা তাদের সারাজীবনেও ভেবে পায়না তার কিসে মন বসে কি ভালো লাগে। আর সেখানে ডন সামদানি অল্প বয়সেই সেটা বুঝতে পারে। আর সেজন্য সে জব ছেড়ে দেয় এবং ক্রিয়েট করে ডন সামদানি ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটেশন।
পিঁপড়াবিদ্যা সিনেমা
গোলাম সামদানি ডন পিঁপড়াবিদ্যা নামে একটি সিনেমায় কাজ করেছেন। যেটি মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী কর্তৃক পরিচালিত। গোলাম সামদানি ডনের মতে এটা স্রষ্টা কর্তৃক তার কাছে এসেছে সে না চাইতেও। যখন বাংলাদেশের সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সারোয়ার ফারুকি ডন সামদানিকে কল করে তখন সে বিশ্বাসই করেনি। ভেবেছে কেউ মজা করতেছে ফ্রাঙ্ক করতেছে , এরপর ফারুকি যখন তাকে মোবাইল নাম্বার দিলো এরপর আস্তে আস্তে ডন সামদানি বুঝতে পারছিলো আসলে এটা নরমাল কারো কণ্ঠস্বর না আর নাম্বার ও নরমাল কারো না। অতঃপর ডন সামদানি মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর ছবিয়াল স্টুডিওতে যান এবং তাদের থেকে কর্পোরেট লুজারে অভিনয় এর জন্য অফার পান।
ডন সামদানি তাদের বলেওছিলো তিনি একজন ট্রেইনার হয়ে লুজার ক্যারেকটারে অভিনয় সম্ভব কিনা। তখন তারা উত্তর দেয়, ডন সামদানিকে এই ক্যারেকটার ভালো মানাবে। অতঃপর ডন সামদানি স্রষ্টা কর্তৃক দেওয়া ভেবে প্রোপোজ টা গ্রহণ করে। আর সেই সিনেমায় পরিচালিত রেদোয়ানের চরিত্রে অভিনয় করে এবং এভাবেই গোলাম সামদানি ডন এর পিঁপড়াবিদ্যাতে প্রবেশ হয় আর সফলতার প্রমাণও দেন।
করোনা চলাকালীন সময়ে ঘরে অবস্থানকালীন কার্যাবলী:-
★ ডন সামদানি কোভিড-১৯ কালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মসূচি সম্পাদন করেন।
★ গোলাম সামদানি ডন facilitation and কনসালটেন্সি দ্বারা “ক্যারিয়ার ১০১” নামে ছাত্রদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। যেটি ছিলো অনলাইন প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত।
★ ২০২০ সালে লাইভ ফ্রম দ্যা লিভিং রুম নামক একটা দৈনিক অনলাইন প্রোগ্রাম শুরু হয়।
গোলাম সামদানি ডন সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য:-
- ★ বিডিজবস ডটকম এর প্রশিক্ষণ ফ্যাসিলিটেটর।
- ★ ইউল্যাব এ ক্লাস এবং ডিস্টিঙ্কশনে গ্র্যাজুয়েট।
- ★ ওয়ার্কশপের সমন্বয়কারী এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ।
- ★ পিএমআই ABCD পুরস্কার ২০১০ এবং ম্যানেজার কনজিউমাত এনগেজমেন্টন্ট ২০১৩
- ★ ডন সামদানি facilitation and কনসালটেন্সির পথ চলা শুরু -২০১৪.
- ★ জেসিআই কর্তৃক ‘টপ ইয়োং আউটস্টার্ডিং পার্সনস অব বাংলাদেশ award 2016.
একনজরে ডন সামদানি:-
- নাম : গোলাম সামদানি ডন।
- ডাকনাম : ডন সামদানি, গোলাম সামদানি, ডন।
- জন্ম তারিখ : ২৫ই জুন।
- জন্ম সাল : ১৯৮৫।
- জন্মস্থান : আজিমপুর ঢাকা।
- বাসস্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : University of Liberal Arts Bangladesh.
- পেশা : প্রশিক্ষক, লেখক, বক্তা ইত্যাদি।
- সংস্থা : ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন কনসাল্টেন্সি।
- বিখ্যাত : ক্যারিয়ার ট্রেইনার।
- স্ত্রীর নাম : মেহজাবিন খান ঊর্মি।
- মেয়ের নাম। : শেজরেহ সামদানি।
- বাবার নাম : গোলাম দস্তগির।
- মায়ের নাম। : নাসরিন দস্তগির।
- ধর্ম : ইসলাম।
- ওয়েবসাইট : donsumdany.com
গোলাম সামদানি ডনের পেশা:-
গোলাম সামদানি ডন বাংলাদেশের এক পরিচিত মুখ, যার সফলতার শেষ নাই। তিনি নানা গুণে গুণান্বিত, একজন নিউরো লিঙ্গুইস্টিক প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষকই নন শুধু তিনি NLP ওয়ান টু ওয়ান প্রশিক্ষক, চিপ ইন্সপিরেশনাল অফিস্যার ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশনের, ম্যানেজিং ডিরেক্টর lovegen বাংলাদেশ, ফ্রিল্যান্সিংয়ে ও অভিজ্ঞ তিনি। তার চেষ্টা এবং প্রচেষ্টায় সারাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতিবাচক চিন্তায় আত্মবিশ্বাসী হচ্ছে, সবার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে।
এক জিজ্ঞাসাবাদে তাকে প্রশ্ন করা হয় কর্পোরেট ট্রেইনার হিসেবে তাকে কেন নেওয়া হয়, এবং কি এমন যোগ্যতার কারণে তার এত পরিমাণ গ্রহণযোগ্যতা, তার উত্তরের সারাংশ হলো এমন যে, তিনি বাংলাদেশের একজন সার্টিফাইড ট্রেইনার, তাই তার গ্রহণ যোগ্যতা অন্যদের তুলনায় বেশি। কর্পোরেট ট্রেইনার এর মধ্যে তার কম্পিটিটর দের নাম জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ইজাজ ভাই এবং কাজি ভাই আছেন। তবে গোলাম সামদানি এবং বাকি ২জন সহ তারা ৩জনেই ৩দিকে স্পেশালাইজড, আর গোলাম সামদানি হলেন “হিউম্যান পোটেনশিয়াল” অর্থাৎ মানুষের ভিতরের যে সুপ্ত প্রতিভা থাকে সেটাকে আনলিশ,আনলক অথবা ভিতরের প্রতিভাকে কে জাগরণের জন্য কাজ করেন তিনি।
গোলাম সামদানি ডনের অভিজ্ঞতা:-
চিপ ইন্সপিরেশনাল অফিস্যার -ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশন এবং কনসাল্টেন্সিতে, ম্যানেজিং ডিরেক্টর- Ikigai HR service Limited. ইন্সট্রাকটর – University of Liberal Arts Bangladesh.ফেসবুক তথা অনলাইন জগত:- গোলাম সামদানি ডন বলেন ফেসবুককে তিনি অনেক ভালোবাসেন কেননা ফেসবুকের কারণে তার জীবনে অনেক অনেক ভালো কিছু ঘটেছে। আর সেসব ভালোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা দিক হলো পিঁপড়ার গল্প চলচ্চিত্র। এটার অফার ও এসেছিলো তার ফেসবুক পেজের দেওয়া ইনফরমেশনের ভিত্তিতে, অর্থাৎ মোস্তফা সারোয়ার ফারুকি গোলাম সামদানি ডনের ফেসবুক পেজ দেখেই শিউর হোন কর্পোরেট লুজার চরিত্র টা তার সাথে ভালো মানাবে।
গোলাম সামদানির বই :-
গোলাম সামদানি ডন তার ভালোলাগার বা ভালোবাসার পেশা হিসেবে নিয়েছেন বক্তৃতাকে। আর তিনি একজন মোটিভেশনাল স্পিকার হওয়াতে বই এর জগতেও ভালো ভূমিকা রাখেন বক্তৃতার পাশাপাশি। তার উল্লেখযোগ্য কিছু বই হলো:- বিষণ্ণতাকে জয় কর আরেকটি হলো ” আনলিশ ইউর ট্রু পটেনশিয়াল ”
★ বিষণ্ণতাকে জয় কর:- এটি একটি আত্ম উন্নয়ন মূলক বই। প্রতিটি মানুষের জীবনেই সুখ দুঃখ থাকে, আর এই সুখ দুঃখের মধ্যেও কিছু মানুষের জীবনে অতিরিক্ত দুঃখ দুর্দশা থাকে। যার ফলে।মানুষ ভেঙ্গে পড়ে বসে যায়। তাদেরকে বিষণ্ণতা ভয়ানক ভাবে আক্রান্ত করে। আর এতটাই গভীর ভাবে আক্রান্ত করে যে তাদের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব পড়ে। আর বই টি সেসকল সমস্যার ওষুধ স্বরূপ। এটি মানুষের জীবনের অনিয়মের সাথে যুদ্ধ করে জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে সাহায্য করে। এই বইটিতে কঠিন সব সময় থেকে লড়াই করে বেঁচে থাকার উপায় সহজ এবং প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করে হয়েছে। যার প্রতিটি সমাধানই সহজ এবং বাস্তবসম্মত।
★আনলিশ ইউর ট্রু পটেনশিয়াল :-এই বইটিও একটি আত্ম উন্নয়নমূলক বই। এটিতে উল্লেখিত বিষয় হলো আনলিশ কর ভিতরের প্রতিভাকে। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ যেমনই হোক না কেন। তাদের ভিতরে থাকা আকাশ সমান সম্ভাবনা। তাদের পারিবারিক অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও এদের ভিতরের সম্ভাবনা বসে থাকেনা। আর এইসব আকাশ সমান সম্ভাবনা কে আনলিশ তথা আনলক করতেই এই বইয়ের রচনা। আমাদের ভিতরে হাজার রকমের প্রতিভা থাকার পর ও আমরা ব্যর্থ হয়ে বসে থাকি। আমাদের মেন্টরের প্রয়োজন হয়, আর যদি মেন্টর পেয়ে যাই তবে অনেক কিছুই বাস্তব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ আমাদের ভিতরের প্রতিভা গুলো ধাপেধাপে বের হওয়ার পথ খুঁজে পায়। আর “আনলিশ ইউরপটেনশিয়াল ” বই টি মেন্টর হিসেবেই কাজ করবে আমাদের জীবনে। এটি এমন রকমেরই বই যেটি মেন্টর রূপে রচনা করা হয়েছে।
ক্যারিয়ার বন্ধু
ডন সামদানির ৫ম বই “ক্যারিয়ার বন্ধু” প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তাম্রলিপি প্রকাশনীর অধীনে। ‘ক্যারিয়ার বন্ধু’ বইটি ২০২২ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হবে ৷ এই বইটিতে আপনি চাকরি সম্পর্কিত তথ্য, সিভি রাইটিং, ক্যারিয়ার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাসহ আরো অনেক দক্ষতা নিয়ে জানতে পারবেন এবং পেশাগত জীবন গঠনের জন্য আরও অনেক টিপস সম্পর্কিত পরামর্শ খুঁজে পাবেন৷
বিজ্ঞাপন মডেল
ডনের ঝুলিতে বিজ্ঞাপন মডেলিং এর অভিজ্ঞতাও নেহায়েত কম নয় । দশটির অধিক টিভি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি অনেক নামী-দামী ব্র্যান্ডের হয়ে।
সমাপনী
বাংলাদেশের সেরা মোটিভেশনাল স্পিকার দের মধ্যে আয়মান সাদিক, সুশান্ত পাল সহ অনেকেই উল্লেখযোগ্য থাকলেও গোলাম সামদানি ডন তাদের অন্যতম। যিনি একাধারে লেখক, কথক, বিশ্লেষক, ইউটিউবার। এই যে তার এত এত পেশা, সব কিছুর মূলে চাওয়াটাই হলো পোটেনশিয়াল। অর্থাৎ জনসাধারণের লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে প্রকাশ করার জন্যই তিনি কাজ করে থাকেন। মানুষের ভিতরের সুপ্ত ইচ্ছা শক্তিকে জাগ্রত করে তাদের কে অনেক দূর পৌঁছানোর জন্য কাজ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন ইতিবাচক দিকের সব কিছুকে। তিনি এটাও বলেছিলেন কেউ যদি পৃথিবীকে ইতিবাচক ভাবে নেয় তবে সব কিছুই তার জন্য ইতিবাচক, আর যদি কেউ নেতিবাচক ভাবে নেউ তবে সব কিছুই তার জন্য নেতিবাচক।
Leave a Reply